অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশু হত্যা মামলার আসামির : ১১ বছর পর ফাঁসি কার্যকর
বি এ রায়হান, গাজীপুর:
লক্ষীপুরের রমগতির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের এক কন্যা শিশুকে হত্যা মামলায় দীর্ঘ ১১ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হল।
রবিবার (১ নভেম্বর) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২- এ ফাঁসি কার্যকর হয়।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া ব্যক্তি আব্দুল গফুর (৪৭) লক্ষীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেন্স এলাকার মৃত শামসুল হক বাঘার ছেলে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২- এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, ২০০৬ সালে লক্ষীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চর লরেন্স এলাকায় ৫ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ও দুই বছরের এক কন্যা শিশুকে হত্যা করে আব্দুল গফুর। পরে এ ঘটনায় রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালে আদালত আব্দুল গফুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এরপর আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলেও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন।
অবশেষে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে রবিবার আব্দুল গফুরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে জল্লাদ ছিলেন শাহজাহান ভুইয়া।
এ সময় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারসহ ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির পর মরদেহ নিহতের বড় ভাই মো. আব্দুল ও মো. হানিফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।